বাংলাদেশে সমকামিতা বৈধ হওয়া উচিত কেন

বাংলাদেশে সমকামিতা বৈধ হওয়া উচিত কেন

সমকামিতা অপরাধ নয়—এটি ব্যক্তির গোপনীয়তা, মর্যাদা ও স্বাধীনতার অংশ। বাংলাদেশের সংবিধান সমতা ও বৈষম্যবিরোধী নীতি ঘোষণা করে; তাই প্রাপ্তবয়স্কদের পারস্পরিক সম্মত সম্পর্ককে অপরাধ করা সংবিধানের চেতনার বিরুদ্ধে। অপরাধীকরণ ভয় ও কলঙ্ক বাড়ায়, যা মানসিক স্বাস্থ্য সংকট, ব্ল্যাকমেইল ও সহিংসতা ত্বরান্বিত করে। বৈধতা দিলে জনস্বাস্থ্য (এইচআইভি/এসটিআই সচেতনতা, পরামর্শ) উন্নত হয়, ভুক্তভোগীরা আইনি সুরক্ষা পায়, পুলিশি অপব্যবহার কমে।

বিশ্বের বহু দেশ সমকামিতা বৈধ করে মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে চলছে—সমাজ ভেঙে পড়েনি, বরং অন্তর্ভুক্তি ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বেড়েছে। আইনশাস্ত্রের মূল নীতি—“কোনো ক্ষতি না হলে রাষ্ট্র ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবে না”—এখানেও প্রযোজ্য। ধর্মীয় বা নৈতিক মতভেদ থাকতে পারে; কিন্তু রাষ্ট্রের দায় সব নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা, কারও পরিচয়কে অপরাধে পরিণত করা নয়।

সারকথা, সমকামিতা বৈধকরণ নৈতিক শৈথিল্য নয়; এটি আইনের শাসন, জনস্বাস্থ্য ও মানবমর্যাদাকে শক্ত করা—একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের পথে জরুরি পদক্ষেপ।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *